Social Icons

Saturday, June 6, 2015

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর কৌশল !!

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর কৌশল !!


মনে থাকে না শব্দটা ছা্ত্রজীবনে বেশ পরিচিত । পড়তে পড়তে ক্লান্ত হয়ে পড়লেও পরীক্ষার হলে ডুকলেই যেন সব ভুলে যাওয়াই কমন! আমরা সব কিছু চাইলেও বাস্তবে সেটা সম্ভব নয়। কিন্তু মনে রাখার পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব। এজন্য আপনাকে কিছু নিয়ম কানুন মানতে হবে।
 
১. কোনো কিছুকে গুরুত্ব দিয়ে না শুনলে কিংবা না দেখলে তা আপনার মনে থাকবে না। সুতরাং নিজেকে বিষয়টি সম্পর্কে সজাগ এবং সচেতন রেখে গুরুত্ব সহকারে মনোযোগ রাখেন। এই মাত্র যার সঙ্গে আপনার পরিচয় হলো তার নামটি যদি আপনি মনে রাখতে চান তাহলে কয়েকবার নিজে নিজে বলুন । ডাইরিতে লিখে  নিলে তা মনে থাকে ভাল।
২. স্বভাবের দিক দিয়ে গোছানো হলে অনেক কিছু সহজে মনে থাকে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো  নির্দিষ্ট জায়গায় রাখলে প্রয়োজনের সময় হাত বাড়াতে পাবেন সহজে।এতে করে নিজের প্রতি নিজের বিরক্তি আসবে না,যেটি আপনার স্মৃতি বৃদ্ধিতে সহায়ক।কেননা নিজের প্রতি বিরক্তি আসলে অনেক সহজ জিনিস ভুলে যাবেন অতি সহজেই।
৩. দিন তারিখ মনে রাখার জন্য আমরা ক্যালেন্ডার, ঘড়ি ব্যবহার করছি। ঘুম থেকে ওঠার জন্য এলার্ম ঘড়ি ব্যবহার করছি। আজকাল মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রে রিমাইন্ডার নামে একটা ব্যবস্থা আছে। যা আপনাকে কাজের কথাটা মনে করিয়ে দেবে। যে জিনিসটা নিয়ে বাইরে যেতে হবে তা দরজার মুখে রাখুন, ওষুধটা বেসিনের উপরে তাকে রাখুন। প্রয়োজনের জিনিস গুলো আগে গুছিয়ে রাখুন, কোন জিনিস ফেলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
৪. শরীর সুস্থ থাকলে মন সুস্থ থাকে। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করুন, পরিমান মত আহার করুন, সিগারেট থেকে বিরত থাকুন। কানে শুনতে, চোখে দেখতে অসুবিধা থাকলে ডাক্তার দেখিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন, এতে অন্য জন কি বলছে কি করছে আপনি আর মিস করবেন না। ঘুমের বড়ি না খাওয়া ভাল। আপনি আরো বেশি এ্যালার্ট থাকবেন তাহলে।
৫. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর ব্যাপারটা আমাদের অভ্যাসের বাইরে। ফলে রোগ গভীর না হওয়া পর্যন্ত আমরা তার উপস্থিতি টের পাই না। প্রত্যেকের উচিত প্রতি বছর ডাক্তারকে দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো। এতে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, চোখের এবং কানের সমস্যা সহজে ধরা পরবে।
৬. শারীরিক কাজ না করলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। কেউ যদি কয়েক সপ্তাহ বিছানায় শুধু শুয়ে থাকে তার পা সরু হয়ে যাবে, মাংস পেশীতে টান পড়বে, হাঁটতে অসুবিধা হবে। তেমনি কার্য ক্ষমতা কমে যায়। সুশিক্ষিত বুদ্ধিমান ব্যক্তি যারা নিয়মিত বুদ্ধির চর্চা করেন বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের স্মৃতি হ্রাস তুলনা মূলক ভাবে কম হয়। তাই ভাল স্মৃতিশক্তি পেতে চাইলে নিয়মিত পড়ুন, শিখুন ও সমস্যা সমাধানে অংশগ্রহণ করুন। অলস ভাবে বসে থাকলে স্মৃতিশক্তি কখনও বাড়বে না।
৭. মনে রাখার কিছু চমৎকার কৌশল আছে। ইংরেজিতে লেফটেন্যান্ট বানানটা মনে রাখা আপনার জন্য খুব কষ্টকর হলে মনে রাখুন। মিথ্যা তুমি দশ পিঁপড়া শব্দ গুলোর ইংরেজি লিখে নেন। বানান পেয়ে গেলেন, মনে রাখার জন্য কল্পনা শক্তির ব্যবহার খুব জরুরি। যে কল্পনা শক্তিকে যত চমৎকার ভাবে ব্যবহার করতে পারবে তার মনে থাকবে তত বেশি।অথবা আপনার কাছে যে জিনিস গুলো মনে রাখা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায় সেগুলো আপনার প্রিয় জিনিসের সাথে তুলনা করে মনে রাখার চেষ্টা করুন।
৮.অধিকাংশ মানুষ যারা নিজেদের স্মরণশক্তি নিয়ে দুশ্চিন্তা গ্রস্ত নন তারা সব কিছু মনে রাখতে পারে তা নয়। যুবকদের মধ্যে যারা ভুলে যায় তারা হয়ত অজুহাত দেখায়। প্রেমে পরেছি মন অন্য দিকে নেই। পড়াশোনা নিয়ে খুব ব্যাস্ত ইত্যাদি ইত্যাদি। বয়স্করা ভাবেন আমার কি স্মৃতিভ্রংশ দেখা দিল? আসলে এরা সবাই স্বাভাবিক। মানুষ একটু আধটু ভুলবে। যতক্ষণ পর্যন্ত এটা সাধারণ কাজকর্মে ব্যাঘাত না ঘটাচ্ছে ততক্ষণ দুশ্চিন্তার কিছু নেই।সত্যি যদি মনে ভুলে যাওয়া ব্যাপারটা আপনাকে বেশ ভোগায় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। সে ক্ষেত্রে যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করবেন তত ভাল।
 

Sample text

Sample Text

Sample Text

 
Blogger Templates